সাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তৈরী হচ্ছে!আবহাওয়া দপ্তরের সতর্ক সংকেত। 



storm(ঝড় ) 








 তারিখ - ১৪/০৫/২০২০


সামনের চলতি সপ্তাতেই  বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধতে চলেছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর তা বুধবার জানিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস অবশ্য জানান, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৬ মে পর্যন্ত কোনও সতর্কতা এখনও নেই।
এদিকে দিল্লির মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী  উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের একটি তালিকা ছিল। প্রথম তালিকার একটি নাম অবশিষ্ট আছে। আর তাইল্যান্ডের দেওয়া সেই নামটি হল ‘আম্পান’। 
তবে ঝড় এখনও তৈরি না-হওয়ায় সরকারি খাতায় এই মুহূর্তে আম্পান ব্যবহার করা হচ্ছে না। যদি এটি ব্যবহৃত হয়ে যায়  তাহলে নতুন তালিকা থেকে নাম দেওয়া হবে। 
এদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ১৬ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। আবহবিদেরা জানান, যে  প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিকে রওনা দেবে এবং তার পরে উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে ১৬ মে নাগাদ আন্দামানে বর্ষা ঢুকতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, যে  ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মূল ভূখণ্ডেও কি আগে ঢুকবে বর্ষা? তা পরিস্কার করে কিছু বলতে পারিনে আবহাওয়া দপ্তর। 
সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি বায়ু ঢোকে ১০ জুন নাগাদ। কিন্তু নতুন ক্যালেন্ডারে তা এক দিন পিছিয়েছে। কিন্তু কেরলের বর্ষা আগমনের দিন ১ জুন থাকলেও দেশের বহু এলাকায় তার আগমন পিছিয়েছে। 
আবহাওয়া দপ্তরের মতে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বর্ষা পৌঁছতে প্রায় এক সপ্তাহ দেরি হতে পারে। তবে কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কখনও কখনও বর্ষার আগমন ত্বরান্বিত করে। ২০০৯ সালে আয়লার হাত ধরে ২৪-২৫ মে বর্ষা ঢুকেছিল বঙ্গে। 
কিন্তু তাতে বর্ষার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। আগাম  কী হতে পারে  তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান আবহাওয়া দপ্তর । আবহাওয়া দপ্তরের  মতে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির পরে তার মতিগতি বুঝে তবেই কিছু বলা সম্ভব।