লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের কাছে চিনা সামরিক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গিয়েছে।
![]() |
India&China Ladakh |
তারিখ - ১৩/০৫/২০২০
দিল্লী: কদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পারদ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছড়িয়ে পরে পূর্ব লাদাখের দুটি চিনা সামরিক হেলিকপ্টারকে কেন্দ্র করে। এদিকে গত সপ্তাহে ভারতের আকাশসীমার খুব কাছ দিয়ে হেলিকপ্টার যেতে দেখা গিয়েছে বলে জানা যায় । এগুলি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ)কর্মকাণ্ড।
গত ৫ঐমের দুপুরে লাদাখে ভারতীয় বায়ুসেনার এক সিনিয়র অফিসার আকাশে যখন রেকি করছিলেন ঠিক প্রায় একই সময়ে চিনা হেলিকপ্টারগুলিকে দেখা যায় বলে জানিয়েছে। পালটা ভারতীয় বায়ুসেনাও সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় টহল দিতে শুরু করে আর লে-র বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই জেটবিমান টিকে পাঠায়।
যদিও পরে ভারতীয় বিমানবাহিনী জানায়, এটা নিয়মিত মহড়া প্রক্রিয়া কিন্তু আকাশসীমা লঙ্ঘিত হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী সেদিনই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) খুব কাছে প্রায় ২৫০ ভারতীয় ও চিনা সেনা জওয়ানের হাতাহাতি, সংঘর্ষ হয়।
এমন কি এটা হিংসাত্মক মেজাজে সংঘাতটি জড়ায় দুপক্ষে, পরস্পর এর মধ্যে ইট-পাথর ছোঁড়াছুঁড়িও হয়। কিন্তু তার ফলে ৭০-৮০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান জখম হন বলে জানাযায়
সূত্রটির কাছথেকে। এ ঘটনার জেরে দুদেশই সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে এসে মোতায়েন করে।
তবে সংঘর্ষের পরদিনই দুপক্ষের স্থানীয় কম্যান্ডাররা বৈঠকে বসেন উত্তেজনা প্রশমনে। গত শনিবার চিন-ভারত সীমান্তের সিকিম সেক্টরের নাথুলা পাসেও প্রায় ১৫০ চিনা ও ভারতীয় জওয়ানের মুখোমুখি সংঘাত হয়। তার ফলে দুপক্ষের দশ জওয়ান জখম হয়।
ঠিক গত বছরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব লাদাখের পাঙ্গং সো হ্রদের ধারে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল ভারত ও চিনা জওয়ানরা। যদিও দুপক্ষের ওপর মহলের বৈঠকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়। তবে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বড় আর বেশিদিনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয় ২০১৭র ১৬ জুন।
তার পর থেকে ডোকালামে দুপক্ষের সংঘাতটি জোরালো হয়েছিল। টানা ৭৩ দিন চলেছিল অচলাবস্থা। এটি শেষ হয়েছিল প্রায় ২০১৮র ২৮ আগস্ট। ওই বিতর্কিত এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর রাস্তা নির্মাণ ভারতীয় বাহিনীর হস্তখেপে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।তার পর থেকেই এর সূত্রপাত ঘটে।
সিকিমের ডোকালাম সংঘাতের ঠিক কয়েক মাস বাদে ২০১৮-র এপ্রিলে চিনের উহান শহরে অনুষ্ঠিত প্রথম অঘোষিত শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঠিক করেন যে তাঁরা নিজেদের সেনাবাহিনীকে ‘কৌশলগত রূপরেখা’ শিক্ষা দেবেন যাতে যোগাযোগ জোরদার করার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থা ও বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। তার পর তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসার ঘটানোর উপর জোর দিতে দুই নেতা গত বছর অক্টোবরে চেন্নাইয়ের কাছে মমল্লপুরমে দ্বিতীয় অঘোষিত শীর্ষবৈঠকের আয়োজন করে ছিলেন।
0 Comments