মুম্বই থেকে চাইবাসায় ১৮০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করলো একদল শ্রমিক।
![]() |
Migrant Workers |
তারিখ - ১৫/০৫/২০২০
করোনার আতঙ্কে এই চলতি লকডাউনের কারণে একসময় কিছু জমানো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের।
তারপর তাঁরা পায়ে হেঁটে নিজের রাজ্যে ফেরার পরিকল্পনা নেই। কোথায় ঝাড়খণ্ড আর কোথায় মুম্বই এই লকডাউনের মধ্যে পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্যে ফিরলেন একদল পরিযায়ী শ্রমিক। মোট পথের দূরত্ব ১৮০০ কিলোমিটার। প্রতিদিন তাঁরা গড়ে ৪৫ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন।
তাঁরা কখনও জল পেলেন না আবার কখনও খাবার পেলেন না। তবু তাঁদের বাড়ি ফেরার নেশা অসম্ভবকে সম্ভব করলো এই পরিযায়ী শ্রমিকের দল। তাঁদের এই বিপুল রাস্তা পেরিয়ে আসার কথা শুনলে যে কারওর চোখে জল আসতে বাধ্য।
পরিযায়ী শ্রমিকদেড় একসময় জমানো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই প্রাণে বাঁচতে তাঁরা নবি মুম্বইয়ের পুরাপানি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে হাঁটতে শুরু করেন। মে মাসের ২ তারিখ রাত তিনটের সময় তাঁদের যাত্রা শুরু হয় খালি পেটে। তাঁরা প্রতিদিন গড়ে ৪০–৪৫ কিলোমিটার যাত্রা পথ অতিক্ৰম করতেন।
তাঁরা ঘুমোতেন পেট্রোল পাম্পে, গাছের তলায়, কখনও বা রাস্তার ধারে। কিন্তু গাড়ি চাপা পড়ার ভয় থাকলেও কোনো উপায় ছিল না তাঁদের কাছে। রাস্তায় তাঁদের কখনো পুলিশ বা ট্রাক চালকেরা কিছুটা পথ গাড়িতে এগিয়ে দিতেন। এই ভাবেই তাঁরা পৌঁছে গেলেন ঝাড়খণ্ডে।
ভারতে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে যে নির্মাণ শিল্পে আমরা কাজ করতাম সেটা বন্ধ হয়ে যায়। জমানো টাকা দিয়ে ক’দিন চলছিল। কিন্তু শেষে তাও ফুরিয়ে যায়। তারপর এদিকে আমাদের এলাকায় আসতে আসতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনা।
তখন আমাদের কাছে দুটোই উপায় ছিল না হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে খালি মেটে মৃত্যু অথবা হেঁটে বাড়ি ফেরা। এই ভাবে তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন শ্রমিকদের এক সদস্য, সতরিয়া হেমব্রম।
0 Comments