হাওড়া থেকে দিল্লী স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া এক ধাক্কায় ৭২০ টাকা হল। 






Howrah Rajdhani Express  AC First Class








তারিখ - ১৮/০৫/২০২০

নতুনদিল্লী: -  রাজধানীর ধাঁচের ট্রেন। তাই জন্য রাজধানীর মতোই বাড়তে শুরু করল স্পেশাল ট্রেনে ভাড়া।  কিন্তু রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম থেকেই ডায়ানমিক ফেয়ার নেওয়া হচ্ছে স্পেশাল ট্রেনে। কিন্তু এই ট্রেনে কোনও ক্যাটারিং ব্যবস্থা থাকছে না, তাই তার মূল্য ছাড়া আছে টিকিটের দামের সাথে।
এদিকে রবিবার দেখা যায় যে টিকিট বিক্রির হার অনেকটাই বেশি। তার ফলে যাত্রীদের প্রশ্ন হলো এই লকডাউন পরিস্থিতিতে এত টাকা নেওয়া কি আদৌ উচিত ? যাত্রীদের মুখে এই কথা শোনা যাচ্ছে। 
তারপর হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি কিছু স্পেশাল ট্রেনের প্রথম দিনের টিকিট সব বিক্রয় হয়ে  গিয়েছিল মাত্র ৩ মিনিটে মধ্যে । এদিকে ১৫ টি রুটে যে স্পেশাল ট্রেন চলছে, সেই ট্রেনগুলির  প্রথম সাত দিনের টিকিট মাত্র ১ ঘন্টাতে বিক্রয় হয়ে  গিয়েছিল। তার ফলে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে যারা আটকে পরে ছিলো, তাদের ফেরার জন্য টিকিটের চাহিদা বাড়লো । আর এই ১৫টি রুটে চলা স্পেশাল ট্রেন এবার ডায়ানামিক ফেয়ারেই চলছে। তার ফলে প্রথম দিনে যে টিকিটের দাম ছিল, তার ছয় দিন পরে সেই টিকিটের দাম অনেকটাই বাড়ল। হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি এসি কোচএর প্রথম শ্রেণির ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৪৫৯৫ টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণিতে যে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ২৭০০ টাকা। কিন্তু যে তৃতীয় শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ যাতায়াত করেন, তার ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ১৯০০ টাকা। কিন্তু আজ থেকে এই তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া বেড়ে হল ২৬২০ টাকা। অর্থাৎ ডায়ানমিক ভাড়ার  জন্য এক ধাক্কায় টিকিটের দাম বাড়ল ৭২০ টাকা। এদিকে 
আই আর সি টি সি'র ওয়েবসাইট অনুযায়ী অতিরিক্ত ৭১৮ টাকা ভাড়া ডায়ানমিক ফেয়ার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।কিন্তু আজ থেকে ভাড়া বেড়েছে আরও বেশ কয়েকটা রুটে। যেমন দিল্লি থেকে পাটনা এসি স্পেশাল তৃতীয় শ্রেণীতে ছিল ভাড়া ১৫২০ টাকা। সেটা বেড়ে হয়েছে  ২০৯০ টাকা। যার ফলে ভাড়া বাড়ল ৫৭০ টাকা। আর এইভাবে ডায়নামিক ফেয়ারের জন্য ভাড়া বাড়ল রাজধানীর ধাঁচে এসি স্পেশালের  ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণীতে।
কিন্তু এদিকে সরাসরি রেলের ভাড়া বাড়াতে রাজি নয় কেন্দ্র। তবে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুরপাল্লার ট্রেনে গুলিতে সাময়িক ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও তার প্রভাব খুব একটা নেই। কিন্তু  এই মুহূর্তে রেলের যা অপারেটিং রেশিও তাতে আয় ও ব্যায়ের মধ্যে সমতা রাখতে ভাড়া বাড়ানো খুব জরুরি মনে করেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। কিন্তু সরাসরি ভাড়া বহুগুণ না বাড়ালেও ২০১৫ সালে রেল ডায়নামিক ফেয়ার চালু করে দিয়েছিলো। তার ফলে ট্রেনে প্রথম ১০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হওয়ার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিটের দাম বাড়তে থাকে।  যার ফলে এসি ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির টিকিটের দাম বিমানের টিকিটের দামের সাথে তুল্যমুল্য হয়ে যায় অনেক সময়। ঠিক  এই কারণে  ট্রেনে  যাত্রী সংখ্যা কমছে। 
কিন্তু এখন যেহেতু বিমান পরিষেবা নেই তাই ১৫ টি রুটে যাতায়াতের জন্য ভরসা সেই এসি স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু এবার ডায়নামিক ফেয়ারের ধাঁচে বাড়ছে এসি স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া। কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতিতে এই ভাড়ায় অসুবিধায় পড়েছেন যাত্রীরা। তবে রেলেকর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে প্রথম থেকেই ট্রেনগুলিতে এই রাজধানীর ধাঁচের ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ডায়নামিক  ফেয়ার নেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেহেতু কেউ বাইরে যাচ্ছেন না তাই খানিকটা বাধ্য হয়েই এই ভাড়ায় তাঁদের যেতে হচ্ছে। তবে রেলকর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে নজর রাখছেন।